নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি কুয়েত সিটিস্থ রাজধানী হোটেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুয়েত শাখা একাংশের আয়োজনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
উক্ত মতবিনিময় সভায় যদিও সমসাময়িক অনেক প্রসঙ্গ’ই স্থান পেয়েছিল; তবে তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সাম্প্রতিক বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (কুয়েত) গঠনকে কেন্দ্র করে ও কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আসহাব উদ্দিনের নানান কার্যক্রম নিয়ে বিষদ সমালোচনা।
একপর্যায়ে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদেরকে সভায় আলোচিত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হলে; সাংবাদিক শরিফ মোহাম্মদ মিজান, মঈন উদ্দিন সুমন, কামরুল ইসলাম, আল-আমিন রানা, শেখ নিজামুর রহমান (টিপু) ও আ,হ জুবেদ একে একে সকল সাংবাদিকবৃন্দরা মতবিনিময় সভার আয়োজকদের বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন।
উল্লেখ্য যে, কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আসহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে বাংলাদেশে যোগাযোগ করে এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুয়েত শাখার (একাংশের) সভাপতি সাদেক হুসেন,আওয়ামী নেতা হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
এদিকে সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে মতবিনিময় সভার আয়োজন আরো আগে করা হলোনা কেন, এমন এক প্রশ্ন করা হলে, জবাবে হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা উনার নানান অনিয়ম কার্যক্রম দেখে সবসময়’ই প্রতিবাদ করে আসছিলাম;কিন্তু রাষ্ট্রদূতের রক্তচক্ষু দৃষ্টি ছাড়াও বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকির ফলে এতোদিন প্রকাশ্যে আমাদের প্রতিবাদ বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে।
গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দরা রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণাদি উপস্থাপন করার কথা বলা হলে, আওয়ামী নেতা হারুনুর রশিদ বলেন, প্রমাণ হলো দুই লক্ষ কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে এক লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশী। তবে আমরা ঠিক সময় মতো সমস্থ প্রমাণাদি যেখানে পৌঁছানো দরকার; সেখানে পৌঁছে দেবো।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (কুয়েত) ও সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের ব্যাপারে উপরোক্ত ও নিম্নে যেসমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে; অভিযোগকারীরা এসংক্রান্ত কোনো ধরণের প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রদানকৃত একটি হার্ড কপি নিম্নে দেয়া হলো।